গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

প্রেগনেন্সি প্রত্যেকটা নারীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় নারীদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। পেট ব্যথা থেকে শুরু করে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের অনেক সতর্কতার সাথে থাকতে হয়।আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা জানতে চান গর্ভবতী মহিলার পেটের ব্যথা কেন হয়। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যাথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
তাই পেটের গর্ব অবস্থায় ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি গর্ব অবস্থায় পেটের ব্যথার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন।

ভূমিকা

প্রত্যেকটা মেয়েকেই গর্ভকালীন সময়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় । গর্ভাবস্থায় মেয়েদের অনেক সমস্যা দেখা দেয় এর মধ্যে পেট ব্যথা উল্লেখযোগ্য ।বেশিরভাগ হবু মায়েরা তাদের গর্ভাবস্থার সময়ে পেটে স্বাভাবিক যন্ত্রণা, ব্যাথা অনুভব করেন। আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা জানতে চান গর্ভবতী মহিলার পেটের ব্যথা কেন হয়। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যাথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তাই পেটের গর্ব অবস্থায় ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ-গর্ভাবস্থার পেট ব্যথার লক্ষণ

  • গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা খুবই সাধারণ একটা জিনিস। এটাই প্রায়ই হতে দেখা যায়
  • গর্ভাবস্থায় কিছু লক্ষণ আছে যা দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে যেমন
  • প্রসাবের সময় রক্তপাত বা জ্বালা অনুভব করলে।
  • গর্ভবতী হওয়ার ১২ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে অতিরিক্ত পেট ব্যথা দেখা দিলে।
  • মাসিকের রাস্তা থেকে রক্তপাত দেখা দিলে।
  • অস্বাভাবিক যৌনস্রাব দেখা দিলে।
  • হাত পা মুখ ফুলে যাওয়া।
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা নিয়মিত জর ও বমি ইত্যাদি।

গর্ভবতী মহিলাদের পেট ব্যথার কারণ

লিগামেন্ট হলো সুতার মত কিছু টিস্যু। শরীরের বিভিন্ন হার ও জয়েন্ট লিগামেন্টের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। জরায়ু থেকে কুচকি পর্যন্ত দুটো বড় লিগামেন্ট থাকে যাকে সাধারণত রাউন্ড লিগামেন্ট বলে।

সহজ ভাষায় গর্ভকালীন সময় বাড়ার সাথে জরায়ু দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, এ সময়ে জরবায়ুর আশেপাশে থাকা পেশি ও লিগামেন্ট গুলো জরায়ুকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে কিছুটা টান খায় । উঠা বসা করতে গেলে হাঁচি বা কাশি হলে ব্যথা অনুভব হয়। এ ব্যথা তীব্র ব্যথা যা মূলত কিছু সময়ের জন্য হয় প্রেগনেন্সির সময়ে ব্যথা বেশি কষ্টদায়ক হলেও ক্ষতিকর নয়।

প্রত্যেকটা মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার পর মায়ের পেটে ভ্রূণ ছোট থেকে বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে পূর্ণাঙ্গ শিশুর রূপ নেয়। ভ্রূণ যখন প্রথমবারের মতো আপনার জরায়ুতে নিজের জায়গা করে নেয়, তখন সেই ঘটনাকে ইমপ্ল্যান্টেশন বলে। এসময়ে তলপেটে কিছুটা ব্যথা থাকতে পারে। যে সময়টায় আপনার মাসিক হওয়ার কথা, সাধারণত তার কাছাকাছি সময়ে দুই-এক দিন ধরে এমন হালকা ব্যথা হয়ে থাকে।

গর্ভধারণের ফলে দেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।দেহে কিছু বিশেষ হরমোনের পরিমাণ অনেকখানি বেড়ে যায় যেমন প্রোজেস্টেরন হরমোন। শরীরে এ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যনালীর কার্যকারিতা কমে যায় এবং এর প্রভাবে খাবার হজমের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এসব কারণে পেট ব্যথা দেখা দেয় ও অস্বস্তি হতে পারে।

ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন

গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতীর মত আপনিও ‘ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন’ অনুভব করতে পারেন। সাধারণত এর ফলে আপনার পেটেরপেশি আটিসাট হয়। এতে মূলত পেটে হালকা কামড়ানো বা পেটের নির্দিষ্ট কোন অংশ টান লাগার মত এক ধরনের অনুভব হয়। ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন প্রকৃত সংকোচন এর থেকে অনেক ভিন্ন যা আরো ঘন ঘন ঘটে আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলে এবং খুব বেদনাদায়ক হতে পারে । এটি আপনার গর্ভেরশিশুর জন্য নিরাপদ।

গর্ভবতী অবস্থায় পেটের ব্যথা হওয়া কি স্বাভাবিক

গর্ভাবস্থায় পেটব্যথা ও পেট কামড়ানো বেশ পরিচিত একটি সমস্যা। এটা প্রেগনেন্সির সময় খুব স্বাভাবিক ঘটনা। জরায়ুর পেশির সংকোচন এর কারণে পেটে চাপ অনুভব হয়। যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। এগুলো সাধারণত দুশ্চিন্তার কারণ নয় তবে কখনো কখনো পেট ব্যথা কোন গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার সাথে যুক্ত গুরুতর চিন্তার বিষয়গুলি

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তাকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় যেমন পেট ব্যথা ,রক্তস্বল্পতা ,জন্ডিস, খিচুনি, উচ্চ রক্তচাপ ,চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া ,পা হাত অথবা মুখ ফুলে যাওয়া এবং বমি হওয়া ইত্যাদি। এ সকল সমস্যা গুলি অধিক পরিমাণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায় পেটের খিঁচুনি

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় গর্ভাবস্থায় খিচুনি একটি অন্যতম সমস্যা। গর্ব অবস্থায় নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলে। পরে সমস্যাটি গর্ভাবস্থায় খিচুনি হিসেবেও দেখা দিতে পারে। সমস্যাটি মৃদু বা প্রকট দুই ধরনেরই হতে পারে। গর্ভাবস্থার খিঁচুনির ফলে মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার জন্য প্রতিকারসমূহ

প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের তলপেটে বাঁ দিকে হালকা ব্যথা থাকা স্বাভাবিক।রাউন্ড লিগামেন্টের ব্যথাসহ সাধারণ কোন কারণে পেট ব্যথা হলে শুয়ে থাকুন এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। সংকোচন হলে দাঁড়িয়ে থাকলে শুয়ে পড়ুন। হাতি কাশির সময় তোমার কিছুটা বাকিয়ে নিন ব্যথা উপশম হতে পারে। শোয়া বসার সময় তাড়াহুড়া না করে আসতে ধীরে উঠুন বা বসুন।

সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। সারাদিনে অল্প অল্প করে বেশ কয়েকবার খান আস জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন ফল ও সবজির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য খান। নিয়মিত হালকা পরিশ্রম অথবা পছন্দের কোন ব্যায়াম করতে পারেন উষ্ণ পানিতে গোসল করলে তলপেটের ব্যথা এবং খিচুনি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে।

গরম পানির ব্যাগ ব্যথার জায়গায় প্রয়োগ করলে ব্যথার অনুভূতি অনেকটা কমে যায়। সময় মতো প্রসাব করতে হবতবে পেট ব্যথার সাথে কোন বিপদজনক লক্ষণ থাকলে অথবা তীব্র ব্যথা হলে অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হয়

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি গর্ভাবস্থায় পেটের ব্যথা কেন হয় এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

বিশেষ সর্তকতা,,গর্ভধারণের পর থেকে নিজের এবং গর্বের সন্তানের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ যত্ন নিতে হবে। প্রত্যেকটা মেয়েকেই গর্ভকালীন সময়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় । গর্ভাবস্থায় মেয়েদের অনেক সমস্যা দেখা দেয় এর মধ্যে পেট ব্যথা উল্লেখযোগ্য ।বেশিরভাগ হবু মায়েরা তাদের গর্ভাবস্থার সময়ে পেটে স্বাভাবিক যন্ত্রণা, ব্যাথা অনুভব করেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url